মূল্যঃ ১০০ গ্রাম ১৫০০ টাকা
শিলাজিৎ বলতেই মাথায় আসে যৌনবর্ধক ভেষজ ওষুধের নাম। এমনকি অনেকে এর নাম প্রকাশ্যে আনতে লজ্জা পান। কিন্তু জেনে রাখবেন এর আরও অনেক গুণ রয়েছে, যা আমরা জানি না।
যৌনক্ষমতা পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি বার্ধক্যকে দূরে ঠেলে দেয় কালো বা খয়েরি রঙের এই যৌগটি। ক্যানসার থেকে আলসার, অ্যালার্জি থেকে অ্যালঝাইমার্স এর দাওয়াই হিসেবে জবাব নেই শিলাজিতের।
শিলাজিৎ হল প্রাকৃতিক উপায়ে পাওয়া খনিজ। যা মূলত ভারতীয় উপমহাদেশের হিন্দুকুশ ও হিমালয় পর্বত মালায় পাওয়া যায়। এটি একটি বিরল প্রজাতির রজন। যা তৈরী হয় হাজার হাজার বছর ধরে পচন ধরা গাছ ও উদ্ভিদের উপকরণ থেকে। এটি দেখতে কালো, কখনও বা বাদামি হয়। পাথরের গায়ে আঠার মত লেগে থাকে।
স্মৃতিবিভ্রম :
ইদানীং কিছুই মনে থাকছে না? সব ভুলে যাচ্ছেন? বয়সের সঙ্গে স্মৃতিও দুর্বল হয়ে পড়ছে? অ্যালঝাইমার্সে আক্রান্ত? শিলাজিৎ খেয়ে দেখতে পারেন। স্মৃতিবর্ধক টনিকের মতো কাজ করে শিলাজিত্। স্মৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত যে কোনও সমস্যায় শিলাজিত্ ভালো কাজ দেয়। মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলের পথে যে ব্লকেজগুলো তৈরি হয়, তা দূর করে শিলাজিৎ।
ডায়াবেটিক :
ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য সেরা সাপোর্টিভ মেডিসিন হতে পারে শিলাজিত্। কারণ, ইনসুলিন শরীরের ইনসুলিন ক্ষরণের কোষগুলোকে সুরক্ষা দেয়। ইনসুলিনের নিঃসরণ স্বাভাবিক করে। রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইনসুলিনের নিঃসরণ স্বাভাবিক হওয়া জরুরি।
রক্তাল্পতা :
অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতায় যাঁরা ভুগছেন, শিলাজিত্ তাঁদের জন্যও খুব উপকারী। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে অ্যানিমিয়া দেখা যায়। শিলাজিতে থাকা ফুলভিক অ্যাসিড রক্তের লোহিত রক্তকণিকার পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে।
শিথিল লিঙ্গ :
মানসিক চাপের কারণে ইরেকটাইল ডিসফাংশানের মতো সমস্যা বাড়ছে। পুরুষদের যৌনশক্তিকে কমজোর করে দেয়। লিঙ্গের দৃঢ়তা কমে। শুক্রাণু কমে যাওয়া ছাড়াও শীঘ্রপতনের একটা সমস্যা তৈরি হয়। নিয়মিত শিলাজিত্ সেবনে এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। পুরুষদের যৌনশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি বীর্যে শুক্রাণুর পরিমাণ বাড়াতে দূর্দান্ত কাজ করে শিলাজিৎ।
আর্থরাইটিস :
বার্ধক্যজনিত অসুখগুলোর মধ্যে আর্থরাইটিস অন্যতম। আমাদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাঁটে ব্যথা, পেশির স্টিফনেসের মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে শিলাজিত্ পার্শ্ব চিকিত্সা হিসেবে ব্যবহার করলে, দারুণ উপকার পাওয়া যায়। গাঁটের যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি দেয়।